মিক্স বলতে আমরা বুঝি অনেক কিছুর মিশ্রণ। ঠিক তেমনি মার্কেটিং মিক্স হচ্ছে মার্কেটিং বিষয়ক অনেক কিছুর সমন্বয়। এখানে বিভিন্ন বিষয় নির্বাচন করে প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে যাচাই করে কোনো সমস্যা বের করা এবং সমাধান করা বোঝায়। চলুন জানা যাক মার্কেটিং মিক্স বলতে কি বোঝায় এর সম্পূন্ন বিবরণ।
মার্কেটিং মিক্স কি?
মার্কেটিং মিক্স হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যেকোনো কোম্পানি তার নির্দিষ্ট পণ্য ভোক্তার নিকট পৌঁছানোর উপায় খুঁজে বের করে এবং ভোক্তাকে পণ্যটি কিনতে আগ্রহী ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। তাই আপনিও যদি ব্যবসা দাড় করতে চান সবার আগে প্রয়োজন মার্কেটিং মিক্স নির্ধারণ করা। এর জন্য দরকার প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা।
মার্কেটিং মিক্স এর প্রকারভেদ
মার্কেটিং মিক্স এর কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। অর্থাৎ মার্কেটিং মিক্স 4p এর নির্ভর করে। সেগুলো হলো:
- Product (পণ্য)
- Price (মূল্য)
- Plan (পরিকল্পনা)
- Promotion (উন্নতি)
আমরা মোটামুটি যারা মার্কেটিং সম্পর্কে জানি তারা এই ৪ টি বিষয়ের সাথে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে আরো ৩ টি বিষয় এর সাথে এড করা হয়েছে যা 7p নামে পরিচিত। তা হলো:
- People (মানুষ)
- Process (পদ্ধতি)
- Physical evidence (শারীরিক প্রমাণ)
4p/7c এর জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আরো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় এবং টা হলো 4c। এখন এসবের গুরুত্ব নিয়ে জানা যাক।
4P এর গুরুত্ব
প্রোডাক্ট, প্রাইস, প্ল্যান এবং প্রমোশন নিয়ে 4p এর বেস গঠিত। 4p এর জনক ই. জে মেকাথী (Source: Internet)। যেকোনো ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের অন্যদের থেকে ভিন্ন ও উপযুক্ত পণ্য খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আপনার পণ্য সবার মতো সাধারণ পণ্য হলে গ্রাহক পণ্যটি কেনার আগ্রহ খুঁজে পাবে না।
দ্বিতীয়ত আমাদের ভাবতে হবে পণ্যটির মূল্য নিয়ে। সবার কাছে তার নিজের অর্জন করা ইনকাম খুবই প্রিয়। তাই মূল্য নির্ধারণের সময় আমাদের সাধারণ মানুষের সামর্থের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
এরপর আসে পরিকল্পনার ব্যাপারটি। পরিকল্পনা ছাড়া সফলতা অসম্ভব। এটাই সবাই জানেন। তাই সঠিক পরিকল্পনা নির্বাচনের বিকল্প কোনোকিছু নেই।
4p এর সর্বশেষ ধাপটি হলো উন্নতি। যেকোনো উন্নতির পেছনে অনেক টেকনিক বা কৌশল ব্যবহার করতে হয়। যেমন: পণ্যের পরিচিতি, বিজ্ঞাপন, সঠিক বিনিয়োগ, বিক্রয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
7P এর গুরুত্ব
4p এর বিষয় এনালাইসিস করার পর আরো কিছু বিষয় উপলব্ধি না করলেই নয়। যেগুলো যেকোনো ব্যবসা আগানোর ভালো মাধ্যম। 4c এর সাথে আরো ৩ টি বিষয় একসাথে করে 7c তৈরি করা হয়েছে। 4p এর পরে পিপলস, প্রসেস ও ফিজিক্যাল এভিডেন্স নিয়ে 7p চালু হয়।
ব্যবসা এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূণ্য হলো টার্গেটেড অডিয়েন্স। আমাদের দায়িত্ব টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজে বের করা। তারপর সঠিক পদ্ধতিতে অডিয়েন্সের কাছে নিজের ব্যবসায়ের প্রচারণা বা উপস্থাপন করা। তা না হলে উপযুক্ত গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্যটি পৌঁছানো সম্ভব না। শেষে যে বিষয় থেকে যায় টা হলো একটি ব্যবসায়ের উপযুক্ত প্রমাণ যা 7p এর ভাষায় ফিজিক্যাল এভিডেন্স বলা হয়।
মার্কেটিং মিক্স এর গুরুত্ব
এতক্ষন আমরা মার্কেটিং মিক্স বলতে কি বোঝায় তা জেনেছি। এখন পালা এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানা। মার্কেটিং বা বিপণনের বেসিক পরিচিতি প্রায় ১০০০ বছর ধরে দৃশ্যমান। তবে এর আদুনিপনা এবং বিস্তৃতি এর শুরু তারও অনেক পরে। বিপুল প্রতিযোগিতার এই ধারায় মার্কেটিং মিক্স এর ভূমিকা অতুলনীয় যা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ এর দশকে। তারপর আস্তে আস্তে সেটি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে মার্কেটিং সেক্টরে মার্কেটিং মিক্স এর প্রয়োগ করা মুখ্য।
সমাপ্তি
ডিজিটাল মার্কেটিং অংশ থেকেই মূলত আমরা মার্কেটিং মিক্স বলতে কি বোঝায় বিষয়টি খুঁজে পাই। ব্যবসা দাড় করাতে, ব্যবসা উন্নতি সাধন করতে, নিজের সেল বাড়াতে এর বিকল্প হয় না। আপনার ব্যবসা গ্রাহকদের দুয়ারে পৌঁছানোর মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করে সাধারণ মানুষকে আপনার ক্রেতাই পরিণত করাই হলো মার্কেটিং মিক্স এর মূল উদ্দেশ্য। আরো জানতে বসে না থেকে এখনি ভিজিট করুন Digital Wit।
মার্কেটিং মিক্স করে কি লাভ?
যদি আপনার ইচ্ছা থাকে নিজের ব্যবসায় লাভবান হওয়া তাহলে আপনি বেঁচে নিতে পারেন এই পদ্ধতিটি। এর মাধ্যেমে টার্গেটেড অডিয়েন্সকে সহজেই আপনার মক্কেল বানাতে পারেন।
4P দ্বারা কি বোঝায়?
চারটি উপাদান নিয়ে 4p গঠিত। এই চারটি উপাদান আপনার লক্ষ্যকে সুদূরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এগুলো হলো বিজনেস এ আগানোর এডভ্যান্স কিছু পদ্ধতি।
7P দিয়ে কি বোঝায়?
4p + ( পিপলস, প্রসেস, ফিজিক্যাল এভিডেন্স ) এসব 7p er অংশ। ডিজিটাল মার্কেটিং যেমন মার্কেটিং মিক্স ছাড়া সম্ভব না তেমনি মার্কেটিং মিক্স এর প্রয়োগে 7p এ মূল্য অনেক। আপনার পণ্য সর্বস্তরে পৌঁছানোর সেরা মাধ্যম এটি।